Skip to main content

Posts

Showing posts from March 15, 2020

রাজা মিলিন্দ এবং বৌদ্ধ ধর্মে তার অবদান/Mru Indigenous Blog

মিলিন্দ প্রশ্ন মতে, রাজা মিলিন্দের জন্ম হয় আলাসান্দ্রার কালাসি নামক গ্রামে। উক্ত স্থান বর্তমানে আফগানিস্থানের কান্দাহারে। ওনার রাজধানী ছিল সালাগায়, যেটি বর্তমান ভারতের পাঞ্জাবে। মিলিন্দ ছিলেন ইন্দো-গ্রীক রাজা (সম্ভবত বুদ্ধাব্দ ১৬৫ বা ১৫৫-১৩০) যিনি দক্ষিণ এশিয়াতে এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্টপোষকতা করেন। মিলিন্দ কোকাসাসে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাক্ট্রিয়ার রাজা হন। ভারত মহাদেশে ওনার সাম্রাজ্যর পরিমাণ ছিল পশ্চিমের বর্তমান আফগানিস্থানের কাবুল নদীর উপত্যকা থেকে  পূর্বের রবি নদীর উপত্যকা পর্যন্ত, উত্তরের শোয়াত নদীর উপত্যকা থেকে হ্যামল্যান্ড প্রদেশ পর্যন্ত। প্রাচীন ভারতীয় লেখকগণ মনে করেন তিনি অ্যালেকজান্ডার থেকেও বেশি প্রদেশ জয় করেন, যেমন রাজস্থান আর পাটলিপুত্রের অভিযান। ম্রো আদিবাসী ব্লগ প্রকাশঃ ১৫ মার্চ ২০২০ সময়ঃঃ ০৭:৫০ ছবিঃ রাজা মিলিন্দ।   সম্রাট অশোকের পর বৌদ্ধ ধর্মের মশাল উজ্জীবিত রাখেন রাজা মিলিন্দ। মৌর্য সাম্রাজ্যর অবসানের পর অধিরাজত্ব আসে গ্রীকদের হাতে। বৌদ্ধ ধর্মে মিলিন্দ সর্বাপেক্ষা পরিচিতি লাভ করেন মিলিন্দ প্রশ্ন গ্রন্থের দ্বারা। ম...

আজ সেই ভয়াল ১৫ মার্চ বান্দরবান জেলার সেটেলার বাংগালীদের কর্তৃক পাহাড়িদের উপর অগ্নিসংযোগ ও হত্যা/Mru Indigenous Blog

বান্দরবান, ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ। পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মসূচী ছিল। সম্মলনকে ঘিরে নানা আয়োজন চলছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মসূচীকে বানচাল করে দেবার জন্য পার্বত্য গণ পরিষদ হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করে। যার পেছনে সমধিকার আন্দোলন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ আর বিএনপি জড়িত ছিল৷ ১৯৯৫ সালে ১৫ই মার্চ সেটেলার বাংগালীর কর্তৃক পাহাড়িদের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ছবি।      তখনকার সময়ে বিএনপি ক্ষমতাসীন দল৷ আর পাহাড়ী বাঙালী ইস্যুতে বরাবরই আওয়ামী লীগ আর বিএনপি একাট্টা। গণপরিষদের এই হরতাল সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রুপ নেয়। তাদের সাথে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও জনসংহতি সমিতি বাদে অন্য সকল রাজনৈতিক দল ছিল যারা পরে ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠপাট করে নিয়ে যায়। সেদিন বান্দরবানের মধ্যম পাড়া এবং উজানী পাড়া একাংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ২৮ জন পাহাড়ী ছাত্র আহত হয়, ২২ জনকে অন্যায়ভাবে আটক করে পুলিশ, ২৪৭ টি ঘর-বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। হাজার হাজার জুম্ম পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। এবং ৪ জন পাহাড়ী ছাত্র এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।...