Skip to main content

কালবৈশাখী ঝর তুফানে থাংলং ম্রো পাড়া স্কুলের ছাদের টিন বিচ্ছিন্নঃ কে দিবে তাদের কিছু ঢেউটিন :

কে দিবে তাদের কিছু ঢেউটিন : থানচির দুর্গম থাংলং ম্রো পাড়া স্কুল নিজস্ব প্রতিবেদক ২ মে ২০১৯ পাহাড়বার্তা নিউজঃ Photo&Post Copy:paharbarta.com 🌎 বান্দরবানে থানচি’র ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের থাংলং ম্রো পাড়া স্কুল বান্দরবানের থানচির দূর্গম জনপদের অসহায় মানুষগুলো যেখানে অন্ন যোগাতেই হিমশিম খায় সেখানে ঢেউটিন কিনে নিজ উদ্দ্যেগে স্কুল মেরামত করে নিজেদের সন্তানদের শিক্ষা অর্জনের পথ সুগম করবে, সেটা ভাবা যেন দু:স্বপ্ন। বাঁশের তৈরী স্কুল ঘরের ঢেউটিন কাল বৈশাখি ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় থানচিতে একদিকে তপ্ত রোদ, অন্যদিকে মেঘের গর্জনের উপর নির্ভর করে চলছে আদিবাসী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন। স্কুলের শিক্ষার্থী থংওই ম্রো ও মাংপুং ম্রো বলেন, আমাদের স্কুলের জন্য কেউ ঢেউটিন এর ব্যবস্থা করে দিলে। আমরা লেখাপড়া করে অনেক বড় হতে চায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে থাংলং ম্রো পাড়া অবস্থান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০১৫ সালে পাড়াবাসীদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরী করেন একটি স্কুল ঘর। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগীতা পাতলা ঢেউটিন দিয়ে স্কুল ঘরটি নির্মাণ করেন। পাড়াবাসীদের মাসিক চাঁদা দিয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ করেন। প্রথমে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পরে পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫৬ জন শিক্ষার্থী স্কুলটিতে অধ্যায়ন করত, তারা সবাই গরীব আদিবাসী পরিবারের সন্তান। আরো জানা গেছে, ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর ইউনিসেফ এর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্কুলটিতে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেন। মোট দুইজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে স্কুলটি। মাস খানেক আগে কাল বৈশাখী ঝড় ও তুফানে স্কুলের ঢেউটিন উড়ে জঙ্গলে দিয়ে পড়ে। আর তাতেই ঢেউটিনগুলো ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ায় শিক্ষার্ত্রীরা যেন খোলা আকাশের নিচেই শিক্ষা অর্জন করছে। স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আইচেম ম্রো ও লেনরুং ম্রো বলেন, প্রচন্ড রোদ ও গরমের মধ্যে জীবন ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তনয়া ম্রো জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল ঘরটিই উড়ে যায়, তবে পাড়াবাসীরা কোন রকম কষ্ট করে স্কুল ঘরটি মেরামত করে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে ঢেউটিন ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই গরমে ও মেঘের গর্জনের শব্দ শুনলেই স্কুলে ছুটির ঘন্টা দিয়ে দিতে হয়। ইউনিসেফ এর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত শিক্ষক তৃপ্তি ত্রিপুরা জানান, স্কুলের সমস্যা কথা উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রিতি কুমার তংচংগ্যা’কে জানিয়েছি কিন্তু অনেক দিন হলো কোন উত্তর পাওয়া যায়নি । উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মং প্রু অং মারমা জানান, আমাদের ইউনিয়নের এই মুহুর্তে কোন বরাদ্ধ নেই। আগামি জুন মাসের বরাদ্ধ হলে সহযোগীতা করবো। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শুধু টেউটিন নয়, পুরো স্কুল ঘরটি সংস্কার করা খুবই জরুরী। স্কুল সূত্রে জানা যায়, স্কুলটির বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে রোদ থেকে বাঁচার জন্য খুব ভোরে ও সন্ধ্যাকালীণ সময়ের দুই শিফটে ক্লাস করান শিক্ষকরা। আকাশে সামান্য মেঘের শব্দ হলেই ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে স্কুল ছুটি দেন তারা। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী ক্ষুদে শিক্ষার্ত্রীরা। এসএমসি কমিটি সভাপতি ও পাড়ার প্রধান (কারবারী) নেকখ্যাইং ম্রো জানান,আমাদের পাড়ায় প্রায় ৬০ পরিবারের বসবাস,সবাই হত দরিদ্র তাই ঢেউটিন ক্রয় করার সম্ভব নয়। আমি স্কুলের সমস্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোন প্রকার আশ্বাস পেলাম না । এই ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, আমি গত ২৮ শে এপ্রিল থানচিতে যোগদান করছি। মাত্র দুইদিন হলো তার মধ্যে ৫-৬টা স্কুলের ভিজিট করেছি। থাংলং ম্রো পাড়া স্কুলের সমস্যার বিষয় আমি জানি না।

Comments

Thanks for commented and Sharing my post!

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...