Skip to main content

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্নঃ


রাঙামাটিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও ২৪তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।



নিজস্ব প্রতিবেদক 
মে ২১,২০১৯। ০৫:৩০।
ছবিঃ অতিথিবৃন্দ


প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে মানুষকে বসবাস করতে হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট  প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আলিফ উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলীক মৃ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিশির চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি শাখার সভাপতি আশিকা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক নিপুণ ত্রিপুরা। এর আগে প্রধান অতিথি জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিন পার্বত্য জেলা থেকে আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। 



প্রধান অতিথির বক্তব্যে উষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, ঔপনিবেশিক কায়দায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে একটা অরাজক পরিস্থিতি চলছে। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্য দিয়ে এখানকার মানুষকে দিন পার করতে হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করে বাইরে ঠেলে দেওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। 


তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের মানুষ কোনো জুম ল্যান্ড বা স্বাধীনতা চায় না। তারা পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন ও সংবিধানে স্বীকৃতি চাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না। তিনি পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Comments

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...