Skip to main content

Techno Mobile বিজ্ঞাপন ভিডিও বানাতে গিয়েঃ ভিডিও


টেকনো মোবাইলের বিজ্ঞাপন বানাতে গিয়ে স্বনামধন্য লেখক হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন আহমেদ যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিচের লেখাগুলো।
১.পাহাড় কিংবা পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনধারা , তাঁদের ঐতিহ্য -সংস্কৃতি নিয়ে কিছু নির্মাণ করার আগে গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত। গবেষণা ও পড়ালেখা ছাড়া কিছু করতে গেলে সেটা গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই হয়না। ক্ষেত্র বিশেষে সেটা বিপজ্জনক হতে পারে। আমরা মানে বাঙালিরা পর্যটক সুলভ দৃষ্টিকোণ থেকে পাহাড়কে দেখি। আমরা পাহাড়কে দেখি বাঙালি -আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির চোখ দিয়ে। আমাদের মধ্যে সুশীল অংশটি পাহাড়ি-বাঙালি মিলন চায়। কিন্তু তাঁদের হারমোনির মেসেজগুলো হয় ছেদো আবেগে ভরপুর, অবাস্তব এবং উদ্ভট। আমরা প্রকৃত সত্য আড়াল করি কিংবা জানতেও চাইনা। পাহাড় সন্মন্ধে বাঙালির অজ্ঞতা কিংবদন্তিতূল্য। পাহাড় মানে মেঘের দেশ সাজেক নয়, উঁচু মাচা নয়, মনোহর কাপ্তাই লেক নয়, সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য কিংবা ঘন অরণ্যে হাঁটতে থাকা চ্যাপ্টা চেহারার কিছু মানুষ নয়, পাহাড়ি-বাঙালির কোলাকুলিও নয়। পাহাড় মানে জটিল রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে অবিরত পাক খেতে থাকা, এথনিক ক্লিজনিং এর সামনে যুদ্ধরত কিছু অসহায় জনগোষ্ঠী। ওদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে, ওদের সংস্কৃতি বিপন্ন।
কর্পোরেটরা পাহাড় নিয়ে ব্যবসা করছে, করবেও সামনে। কিন্তু এথনিসিটিকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে, পাহাড়ের উপর চলমান সাংস্কৃতিক জোর-জবরদস্তি - উচ্ছেদকে বৈধতা দিয়ে কোন অবাস্তব বিজ্ঞাপন নির্মাণ করা খুবই দুঃখজনক এবং এটা এক প্রকার অশনিসংকেত।
© সুদিপ্ত বিশ্বাস বিভু
২.পাহাড়ে কোন বাঙালী জুম ঘরে থাকে? কোন এলাকায়? আর কোন পাহাড়ী ছেলের নাম হয় রাফি? আর বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান ধর্মের না হয়ে মুসলিম হয়ে নামাজ পড়ে? নুহাশ হুমায়ুন বা এই বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট কেউ কোনদিন পাহাড়ে গেছে ট্যুর দেয়া ছাড়া আসলেই স্টাডি করতে? পাহাড়ে ইসলামাইজেশন এর অংশ ছাড়া আর কিছু না। এমনিতেই বার্জারের হাত ধরে যে গ্রাম অরগানিক রং ব্যবহার করতো তা ধসিয়ে আসছে। আবার এটা।
-Sanjeda Anwar preity
৩.বিশেষ অঞলের জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কোন ভিডিও চিত্র বানানোর আগে তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিগত আচার আচারনের ব্যাপারে আগে ভালো করে জানা উচিত। পাহাড়ের সহজ সরল মানুষের অনূভুতিগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার আগে প্লিজ একবার চিন্তা করুন গোটা দেশের মানুষের কাছে আপনি পাহাড়কে কিভাবে উপস্থাপন করছেন।পাহাড়ের মানুষের যে আলাদা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা কতটুকু অক্ষুন্ন রাখতে পারছেন।পাহাড়কে বুঝতে গেলে তার কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে হবে।দেশের ব্যপক মানুষের উগ্রবাঙালী চিন্তাধারার ফসল হলো এই বিজ্ঞাপনটি।নির্মাতাও এখানে সেই চিন্তাধারার উর্ধ্বে যেতে পারেন নি। শুধুমাত্র নাক বোচা, চোখ ছোট, এবড়ো -থেবড়ো বাংলা বলা একজন পাহাড়ির পরিচয় হতে পারে না। একটি মাচাং ঘর, মেঘ ছুই ছুই পাহাড়ের ল্যান্ডস্কেপ হলেই পাহাড় হতে পারে না। এতে দর্শককে প্রকৃতির লাস্যময় কিছু স্বাদ দিতে পারবেন, পাহাড়ের মানুষের সাথে গোটা দেশের মানুষের সংযোগ তৈরি করতে পারবেন না। শিল্প সাহিত্য চর্চাকারী ব্যক্তিকে আমরা সমাজের সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষ হিসাবে জানি। এমন ব্যাক্তিদের কাজ থেকে আমরা এমন কাজ কখনো আশা করতে পারি না।শতবছর ধরে চলা পাহাড়ের মানুষের উপর সংস্কৃতিগত যে আগ্রাসন চলছে তার একটি চিত্র এটি। একটি দেশের সংস্কৃতি তখনি সমৃদ্ধ হবে যখন দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অপরাপর জনগোষ্টীগুলো সংস্কৃতি চর্চা তার নিজস্ব ধারায় বহমান রাখতে পারবে। আমরা চাই যারা পাহাড়কে নিয়ে সত্যি চিন্তা করে তারা এগিয়ে আসুক,কাছাকাছি এসে জেনে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করে গোটা দেশের মানুষের সাথে সেতুবন্ধনের কাজ করুক। সবচয়ে অবাক করার বিষয় হলো নির্মাতা এখানে পাহাড়ি ছেলেটির নাম "রাফি" দিয়ে শুরু করেছেন।পাহাড়ি কোন ছেলের নাম রাফি হতে যাবে কেন,একজন মানুষের নামের সাথে তার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকে।বৃহত্তর বাঙালী সম্প্রদায় এবং পাহাড়ের মানুষের সংস্কৃতিগত পার্থক্যটা আকাশ পাতাল তফাৎ,এই মাচাং ঘরটি বাঙালী মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য আছে জানি না। তবে পাহাড়ের ছেলে হিসাবে বলতে পারি আজ পর্যন্ত কোন মুসলিম সম্প্রদায়কে দেখিনি এমন মাচাংঘরে থাকতে। প্রতিনিয়ত যেখানে পাহাড়ে ভূমি বেদখল হচ্ছে সেখানে নির্মাতা পাহাড়ের বসতবাড়ি গুলো মনস্তাত্বিক ভাবে দখল করেছেন কি না জানি না। আমরা পাহাড়িরা প্রতিনয়ত আতঙ্কে থাকি আগ্রাসনের শিকার হবার ভয়ে কারন আমাদের আশেপাশের অনেক গ্রাম, নদী, হাট বাজার গুলোর নাম পরিবর্তন হয়েছে এই যেমন , চেঙে হয়েছে চেঙ্গী,রাঙামাট্ট্যে হয়েছে রাঙ্গামাটি,হাগারাছুড়ি হয়েছে খাগড়াছড়ি এছাড়া নামে বেনামে রহিম পল্লি করিম পল্লি তো প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে। স্রেফ আপনাদের উচ্চারনের সুবিধার জন্য জায়গাগুলোর নাম পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত ইচ্ছা- অনিচ্ছাকৃত ভাবে। অথচ একটি অঞ্চলের নামের সাথে সেখানকার শতবছর ধরে বসাবাসরত জনগোষ্টিগুলোর একটা আত্বার সম্পর্ক রয়েছে,যার ফলে এইসব জায়গায় গুলোও তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় হয়। এখানে নির্মাতা পাহাড়ি ছেলেটির নাম কেন রাফি ব্যবহার করেছেন তা বোধগম্য নয়।
-Aungkon chakma
৪.এইরকম মুসলিম পাড়া তো নাই ই, ওরা এরকম ভদ্রলোকের বাংলাও বলে না। অদ্ভুত লাগলো এইরকম মুসলমানীকরণ আর বাংগালীকরণ।
-সমুদ্র সন্তান
৫.বান্দরবান এর অনেক পাহাড় আর পাড়া ( দার্জিলিং পাড়া, সাইকত পাড়া, কাইক্ষং পাড়া, বোডিং পাড়া, হেডম্যান পাড়া, থুসিয়া পাড়া) আরো নাম না জানা অনেক পাড়া ঘুরলাম কিন্তু গহিনে তো মুসলমান সম্প্রদায় দেখি নাই।
- Rahat Khan
৬.Is this Nuhash Humayun, the son of writer Humayun Ahmed? If it is yes, this work is sadly disappointing. Please confirm that it is not a principle not only N Humayun or any creative person will pursue. Just watching the add, as it was shared by some with critical comments, and without making out who possibly he is, the add gave a message that it is a religio-nationalist corporate dream of Islamisation of the CHT through media and technology like smart phone. I hope Nuhas Humayun, with reflection, could see what is wrong with it. Creative works should inspire goodness, mutual respect for each other's culture/ religion/ language, de-colonising of colonised minds to build friendship and trust between majority and minorities of the country, and not division and hatred. This kind of works, if miss sensitivity, without understanding cultures and histories of peoples, can smear not only an individual's creativity but Bangladesh's secular cultural landscape which was dreamt through the Muktijuddha. A brilliant, young mind like N Humayun has immense possibility to do works for being a peace maker. We hope to see such peace building works, not something like this, on the CHT and other parts of Bangladesh from this director.
-Kabita Chakma
৭.আমার পার্বত্য বন্ধুদের সামনে মাথা কাটা যাওয়া ছাড়া আর কিইবা বলার আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার, ভূমি সমস্যা, সব পায়ে দলে এথনিক হারমনি দেখানোর এই অপচেষ্টা দেখে হতাশ।
নুহাশ এর প্রতি সফট কর্ণার যাওবা ছিলো, আজকের পর শেষ।
আর ইফতার টাইম আজানের সাথে সম্পর্কিত তো না, সম্পর্ক সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সাথে। সেদিক থেকেই বাজে রকমের ব্যাখ্যা।
-Masuk ur Rahman
আমার মন্তব্য :
প্রথমত বলি পেইজ থেকে ভিডিওটি শেয়ার না করে পেইজটাকে প্রমোট করলাম না। সরাসরি ভিডিওটি সংযুক্ত করে দিলাম আার সাথে জয়েন থাকা প্রত্যেকেই দেখুক আমাদের স্বতন্ত্রটা নষ্ট করে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন শুরু করা হয়েছে।
একে একে তো আমাদের পরিচয় খেলেন, ভূমি খেলেন, জায়গার নামগুলো খেলেন, এখন ধর্ম ও মৌলিক সংস্কৃতি খাওয়ার ধান্দায়?
বিজ্ঞাপন নির্মাতা নুহাশের জানা উচিত বান্দরবানের গহীনে মুসলমান থাকে না, মুসলমানরা থাকে শহর অঞ্চলগুলোতে ,যেগুলোতা বিদ্যুৎ -পানি -স্বাস্থ্য -যোগাযোগ -সেনাবাহিনীর ক্যাম্প আছে। তাই এইরকম ইফতার -সেহেরি নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না মুসলমান সম্প্রদায়কে।
ধর্মকে পুঁজি করে, মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করা নতুন কিছু নয়। এতে নুহাশ মূলত পাহাড়িদের উপর ইসলামকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছেন। পাহাড়ী কারোর নাম রাফি হয় না তার জানা উচিত ছিল।
এখানে অভিনয় করা পাহাড়ী বলদগুলোকে কি বলবো! সম্প্রীতির তত্ত্বে আহ্লাদিত তারা। এক একটা জড়পদার্থ।
Techno Mobile বিজ্ঞাপন ভিডিও পরিচালকঃ নুহাস হুমায়ুন 

 নুহাস হুমায়ুন বানানো টেকনো মোবাইল বিজ্ঞাপন ভিডিও। 
ভিডিও লিংকঃ https://www.facebook.com/1708706609344738/posts/2323301071218619/?app=fbl






পোস্ট কার্টেসী - Kiran ছাকমা


Comments

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...