Skip to main content

শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন অতিজরুরীঃ সন্তু লারমা

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ হতে হলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করা অত্যন্ত জরুরী। শান্তি চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে নাহলে তিন পার্বত্য জেলায় আরো সংঘাত সংঘর্ষ চলতে থাকবে। পাহাড়ে শান্তি ফেরার একমাত্র উপায় যত সম্ভব শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা।
-Mru Indigenous Blog

নিজস্ব প্রতিবেদক 
১২ ফেব্রুয়ারি  ২০১৯
প্রকাশিতঃ ১৪:৫৬ মিনিটে 

সন্তু লারমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। কিন্তু এ চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আজ অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে এ অঞ্চলের জনজীবনের উন্নয়নের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল তার প্রতিফলন ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সন্তু লারমা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের (সির্ক) উপকারভোগী ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে এ অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা হয়।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তির মধ্য দিয়ে যে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা কাঠামো করা হয়েছে, তা আজও প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনগুলো যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ার কারণে এখানকার স্থায়ী অধিবাসীদের জীবনধারা আরও সহজ ও উন্নত হচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠান নামেই মাত্র রয়েছে।
অশিকা হল রুমে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাস সুইস কো-অপারেশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও গ্রিনহিলের আয়োজনে এ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন গ্রিনহিলের চেয়ারপারসন টুকু তালুকদার। 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেলভেটাস সুইস কো-অপারেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাসপার গ্রোসেনভেচার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক কৃষ্ণপদ মল্লিক, বিএনকেএসের নির্বাহী পরিচালক হ্লা সিং নুয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রিনহিলের উপনির্বাহী পরিচালক যতন কুমার দেওয়ান। 
আরও বক্তব্য দেন সির্ক-হেলভেটাস সুইস কো-অপারেশন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. নূর আক্তার নাহার, ইনোভেশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাদউদ্দীন, সির্ক প্রকল্পের রাঙামাটির টিম লিডার অমূল্য রঞ্জন চাকমা।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় রাঙামাটি ও বান্দরবান থেকে প্রকল্পের উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি, কৃষি ও পশুসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Comments

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...