Skip to main content

প্রথমবারের মতো পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন অনুষ্ঠিত-২০১৯ঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ  কর্তৃক আয়োজিত  বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন-২০১৯ইং

নিজস্ব প্রতিবেদক 
জুন ১, ২০১৯।
প্রকাশিতঃ রাত ০৯:৫০মি।


বান্দরবান  বিশ্বশান্তির প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমসাময়িক ধর্মীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবন ধারা প্রতিপাদ্য বিষয় গুলো নিয়ে দুইদিন ব্যাপি বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বান্দরবানে অরুণ সারকী টাউন হল মিলনায়তনে  জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।



Naindiya Monk
পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এই প্রথম বার "পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন ২০১৯” দুই দিন ব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সম্মেলনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। তার জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্মানিত মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং মহোদয়। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলার সুযোগ্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব ক্যশৈহ্লা মারমা মহোদয়, বান্দরবান সেনানিবাসের উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা এবং তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভিক্ষুবৃন্দ। উক্ত সম্মেলনে মাননীয় প্রধান অতিথি জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং অত্যন্ত সুন্দর, সুকৌশলী, দক্ষ বক্তব্য প্রদান করেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে পার্বত্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের অদ্যক্ষ মহোদয়গণ কে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক সম্মাননা সূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বান্দরবান রুমা উপজেলায় একমাত্র অনাথ আশ্রম "অগ্রবংশ অনাথালয়ের" অধ্যক্ষ হিসেবে আমাকেও সম্মাননা সূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরিশেষে পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পৃষ্ঠপোষকতায় এত বড় একটি সুন্দর এবং গোছানো সম্মেলন আয়োজন করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদান্তে
অধ্যক্ষ
উঃ নাইন্দিয়া ভিক্ষু
অগ্রবংশ অনাথালয়
রুমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।




সম্মেলনের কিছু ছবিঃ





--------------->>>>>>>>

Comments

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...