সমাপ্ত চাকমাকে আশার আলো দেখালেন দুই মানবতাবাদী
নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি
হতাশায় দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছেন গরীব অসহায় মেধাবী ছাত্র সমাপ্ত চাকমা। পকেটে নেই টাকা। বিভিন্ন খরচের মধ্যে নিজের ফরম ফিল-আপের টাকা কোথা থেকে পাবে এমন চিন্তায় দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন তিনি। সমাপ্ত চাকমা রাঙামাটি সরকারি কলেজ ডিগ্রী বিবিএস এর ছাত্র। লেখা-পড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করেন। তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশন সংগঠনে বর্তমানে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। সমাপ্ত চাকমার ফরম ফিল-আপসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে হঠাৎ করে ভগবান হয়ে সমাপ্ত চাকমার জীবনের হতাশা দূর করে দিলেন দুই মানবতাবাদী। রোববার সকালে মানবতাবাদী জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ সমাপ্ত চাকমার যাবতীয় ফরম ফিলাপের চৌদ্দ শত টাকা সহায়তা প্রদান করেন। পরে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সাংবাদিক,স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশন এর উপদেষ্টা (ব্যবস্থাপনা সার্বিক) সুশীল প্রসাদ চাকমা সোমবার সন্ধ্যায় তার রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজ কার্যালয়ে সমাপ্ত চাকমাকে তার অন্যান্য পড়া-লেখার খরচ হিসেবে নগদ দুই হাজার টাকা সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে যদি বড় ধরনের কোন সমস্যায় পড়লেও সমাপ্ত চাকমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন দুই মানবতাবাদী। এসময় হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের কাছে তার অভিব্যক্তি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারের একজন সামান্য কর্মচারি। জনগণের সেবা করার লক্ষ্যেই সরকার আমাকে অত্র জেলায় পাঠিয়েছে। সামান্য কয়দিনের জন্য এই জেলায় আমি দায়িত্ব নিয়ে আমি এসেছি। এই কথাটি মাথায় রেখেই আমি চেষ্ঠা করি যাতে জনগণ তাদের ন্যায্য প্রাপ্ততাটা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পায়।
এবিষয়ে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, আমি শুধু সমাপ্ত চাকমাকে সহযোগিতা করিনি। অনেক অসহায় গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সহযোগিতা করে আসছি। মানবতাবাদী সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) এর মাধ্যমে জানতে পারি সমাপ্ত চাকমা আর্থিক ভাবে বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যায় রয়েছে। এছাড়া আমার জানামতে সমাপ্ত চাকমা একজন সৎ , গরীব মেধাবী ছাত্র। সামান্য কয়েক টাকার কারনে একজন গরীব ছাত্রের জীবনের ভবিষ্যত এভাবে নষ্ট হোক কারোর কাম্য নয়। তবে সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) এর সহযোগিতা এবং মহানুভবতা না থাকলে সমাপ্ত যেমন সহযোগিতা পেত না তেমনি আমিও সমাপ্ত চাকমার বিপদের সময়ে সহযোগিতা করার সুযোগ পেতাম না।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটির এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশন বিভিন্ন ভাবে সমাজে ভূমিকা রেখে কাজ করে যাচ্ছে। মানবতাবাদী কাজের মধ্যে দিয়েও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন সংগঠন । সেহেতু সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবেও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এবিষয়ে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, আমি শুধু সমাপ্ত চাকমাকে সহযোগিতা করিনি। অনেক অসহায় গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সহযোগিতা করে আসছি। মানবতাবাদী সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) এর মাধ্যমে জানতে পারি সমাপ্ত চাকমা আর্থিক ভাবে বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যায় রয়েছে। এছাড়া আমার জানামতে সমাপ্ত চাকমা একজন সৎ , গরীব মেধাবী ছাত্র। সামান্য কয়েক টাকার কারনে একজন গরীব ছাত্রের জীবনের ভবিষ্যত এভাবে নষ্ট হোক কারোর কাম্য নয়। তবে সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) এর সহযোগিতা এবং মহানুভবতা না থাকলে সমাপ্ত যেমন সহযোগিতা পেত না তেমনি আমিও সমাপ্ত চাকমার বিপদের সময়ে সহযোগিতা করার সুযোগ পেতাম না।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটির এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশন বিভিন্ন ভাবে সমাজে ভূমিকা রেখে কাজ করে যাচ্ছে। মানবতাবাদী কাজের মধ্যে দিয়েও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন সংগঠন । সেহেতু সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবেও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সমাপ্ত চাকমার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি বিভিন্ন দিক দিয়ে খুব সমস্যায় আছি। গত বছর বাবা মারা যান। পরিবারে মা ছাড়া টাকা ইনকামের কেউ নেই। পরের বাড়িতে থেকে আমি কোন মতে পড়া-লেখা চালিয়ে যাচ্ছি। বাবার অকাল মৃত্যুতে আমার পরীক্ষা খারাপ হয়। বিভিন্ন দিক দিয়ে আমি অনেক সমস্যায় আছি এ বিষয়ে আমার সংগঠনের সভাপতি সুপ্রিয় চাকমা( শুভ) দাদাকে জানালে তিনি সংগঠনের সদস্যদের থেকে টাকা উত্তোলনের কথা জানান। তাতে আমি রাজি হয়নি। কেননা এর আগে যখন আমি অসুস্থ ছিলাম তখন তিনি পারমিত চাকমা, নিকেল চাকমা,নিপায়ন চাকমা , ইমন চাকমা,অনন্ত চাকমা, সুশীল কাকু সহ সকলে মিলে আমাকে সহযোগিতা করেন। যার কারনে আমি সংগঠন থেকে সহযোগিতা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি হয়নি। পরে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মামুনুন রশিদ স্যারের কাছে আমাকে নিয়ে গেলে তিনি ফরম ফিল-আপের পুরো নগদ চৌদ্দ শত টাকা সহযোগিতা করেন। পরে আমার সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রদ্ধাভাজন সুশীল প্রসাদ চাকমা পড়া-লেখার অন্যান্য খরচ হিসেবে আমাকে নগদ দুই হাজার টাকা সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, সুশীল কাকু আমাকে পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এতে আমার পড়া-লেখা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক উপকার হবে। তবে এসবকিছুর পেছনে সব চাইতে যিনি ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন আমার সংগঠনের সভাপতি সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) দাদা। তিনি না হলে দু’জনের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হতো না। সেহেতু আমি সুপ্রিয় দাদার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
এবিষয়ে সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) বলেন, আমার দায়িত্ব আছে বলেই সবাইকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আমি নিজে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে না পারলেও অন্যজন থেকে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকি। যাদের সহযোগিতা করতে পারি আমি নিজেই আনন্দবোধ করি।আমি চাই সকলের মনে মানবতা নামক শব্দটি বিচরণ করুক।
তথ্য সূত্রেঃ hilarsongbad.com
এবিষয়ে সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা (শুভ) বলেন, আমার দায়িত্ব আছে বলেই সবাইকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আমি নিজে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে না পারলেও অন্যজন থেকে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকি। যাদের সহযোগিতা করতে পারি আমি নিজেই আনন্দবোধ করি।আমি চাই সকলের মনে মানবতা নামক শব্দটি বিচরণ করুক।
তথ্য সূত্রেঃ hilarsongbad.com
Comments