Skip to main content

আমাদের ম্রো জাতির সংস্কৃতি চর্চা কোন পথে? লুংরিং ম্রো

( দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে ম্রো সংস্কৃতির রুপ চর্চা। আদিকাল থেকে পালিত নিয়ম রীতিনীতি গুলোকে বিচ্ছেদ করে নতুন রুপে দেখা যায় ম্রোদের।
short post by Mru Indigenous page) 






 Photo: Lung Ring Mro




আমাদের ম্রো জাতির সংস্কৃতি চর্চা কোন পথে ???
<<<<<<<#পড়ে_নিবেন_প্লিজ!


আমাদের সংস্কৃতি সমাজে যখন আধুনিকতা ছোঁয়া লেগেছে ঠিক তখনই জানালার দিকে সংস্কৃতি পলায়ন উপক্রম হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলানো মানেই এই নয়, যে নিমজ্জিত করে নতুন আনা।
সংস্কৃতি চর্চা করে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন আবশ্যক। আমরা কেউ চাই না নিজের সংস্কৃতি এমনভাবে পরিবর্তন করতে যা আমাদের সংস্কৃতি চর্চা হুমকির মুখে পড়ুক। একটা জাতি,বর্ণ, ভাষা ও জীবন বৈচিত্র্য প্রভৃতি সংস্কৃতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান।
বাঁশি দেখলে মাত্রই আমরা সবাই বুঝতে পারি যে, ম্রো জাতির বাদ্যযন্ত্র। ম্রো জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। কিন্তু আজ আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে সংস্কৃতি উদযাপন ও উপস্থাপনের পরিলক্ষিত হয়। ফলে আমাদের সংস্কৃতি চর্চা সমাজে হাস্যকর হয়ে ওঠেছে।
Photo: Mru Indigenous  


আমাদের সমাজে বাঁশি বাজিয়ে নেচে গেয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী,চেয়ারম্যান, নেতা,দেশি-বিদেশি বড় ব্যবসায়ী, শিল্পী,ধর্মীয় গুরু,বিখ্যাত - কুখ্যাত ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গদের অভ্যর্থনা, বরণ,সংবর্ধনা ও আসন গ্রহন প্রভৃতি কাজে নির্দিষ্ট মঞ্চ ছাড়া অনুষ্ঠান করে যাচ্ছি।
এছাড়া র‍্যালী,সম্মেলন, প্রতিবাদ,আন্দোলন,মিছিল, দিবস,মানববন্ধন এবং শুভাযাত্রা প্রভৃতি কার্যক্রমে করতেও দেখা যায।
ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারবেন। এসব দৃশ্য অত্যন্ত দুঃখদায়ক। আপনারা দেখেছেন কিনা জানিনা, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের এভাবে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন বা উদযাপন করতে। ফলে আমরা আমাদের জাতিসত্তা পরিচয় বাহক সংস্কৃতিকে হারাতে বসেছি। কেউ মুখ খুলে বলার নাই।
কোথায়, কিভাবে,কোন ক্ষেত্রে " বাঁশি বাজিয়ে নৃত্য " সংস্কৃতি ব্যবহার করা যাবে বা যাবে না। তা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
কিভাবে,কোথায় ব্যবহার করা যাবে না/ উচিত নয়ঃ
--------------------------------------------------------------
Photo: Mru community musical instruments    



১। কোন মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, নেতা,শিল্পী, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা, বিখ্যাত -কুখ্যাত, দেশি-বিদেশি,ধর্মীয় গুরু,সমাজ সেবক ও সম্মানী ব্যক্তিবর্গদের অভ্যর্থনা, বরণ,সংবর্ধনা এবং বিদায় প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মঞ্চ ছাড়া "বাঁশি বাজিয়ে নৃত্য " অনুষ্ঠান করা যাবে না। এছাড়া কোন র‍্যালি,সম্মেলন,দিবস পালন,প্রতিবাদ,মানববন্ধন,আন্দোলন,মিছিল ও শুভাযাত্রা প্রভৃতি কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করা যাবে না।
২। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সমর্থন, বিয়ে,ঘোষণা, মুক্তি, বিজয় ও সমর্পন প্রভৃতি কাজে বাঁশি বাজিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নেচে গেয়ে উল্লাসে উদযাপন করা যায় না ।
৩। দেশে-বিদেশে রাস্তায়,বাজার,শহর ও অফিসে ঘুরে ঘুরে নৃত্য এবং এলোপাটাড়ি পরিবেশন করা উচিত নয়।
সেখানে,যেভাবে ব্যবহার হবে/ উচিতঃ
---------------------------------------------------
Photo: Mru Community Dance Screen  


১। "গো হত্যা"(চিয়াসদ পই) অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নির্দিষ্ট বা ঐতিহ্য মঞ্চ সাজিয়ে আয়োজন করে অনুষ্ঠান করা যাবে। এতে বর-কনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর পুয়াইন প্লুং/ রিনা প্লুং বাজিয়ে কনেকে বরণ/ পাং করা যাবে। যা আদি থেকে প্রচলিত।
২। কর্তৃপক্ষ অনুমতিতে নির্দিষ্ট স্হান পাত্র বজায়ে মঞ্চ ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা যাবে বা পারবে।
এতে মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, নেতা,সমাজসেবক,দেশি-বিদেশি, ধর্মীয়গুরু,শিল্পী, কর্মকর্তা ও সমাজে সম্মানিব্যক্তিসহ সকল শ্রেণি মানুষের সম্মুখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন বা পরিবেশন করা যাবে।
৩। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উৎসব নির্দিষ্ট স্থান পাত্র বজায় রেখে পালন করতে পারবে।
৪। যদি আমাদের জাতিসত্তার অবমাননা বা অন্য কোনো অপ্রীতিকর জনিত প্রতিবাদ,সম্মেলন,ঘোষণা এবং বিজয় প্রভৃতির ক্ষেত্রে বাঁশি বাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে পারবে।
Photo: Mru Community Traditional Dancing Dress   


বিঃদ্রঃ দয়া করে কেউ ব্যক্তিগত, রাজনৈতিকভাবে নিবেন না। যদিও এটি রাজনীতির সাথে জড়িত। বরংচ সংস্কৃতি রক্ষার্থে এগিয়ে আসুন। আমাদের সংস্কৃতি ব্যক্তির নয়, সবার জন্য, জাতির জন্য। নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার অনুরোধ রইলো।
আমার মোবাইলের লেখায় ভুলত্রুটি থাকতে পারে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন।
সবার মতামত আশা করছি। ধন্যবাদ।




Post Writer:

Lung Ring Mro

Posted on November 30, 2018
Time: 01:25pm


Photo: Mru Indigenous Page
wwww.facebook.com/mruindigenouspeoples
www.mruindigenous.blogspot.com      

Reported: 
Published by Mru Indigenous page Admin.
May 6, 2019
Tme: 03:38pm

Comments

Popular posts from this blog

চিকিৎসা না করেও চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ/ভুক্তভোগী সজীব চাকমার অভিযোগঃ

চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিমিটেড নামক একটা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা না করেও অতিরিক্ত চিকিৎসার বিল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন  রোগীর পিতা সজীব চাকমা। চিটাগং হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল লিঃ   রোগীর পিতা সজীব চাকমার ফেসবুকের প্রথম পোস্ট তুলে ধরাহলোঃ         রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া আর জ্বর নিয়ে গত ০২/০২/২০২০ তারিখে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। নিউমোনিয়া ভাল হলেও জ্বর গতকাল ০৬/০২/২০২০ পর্যন্ত ভাল না হওয়ায় ডাক্তাররা জ্বরের চিকিৎসা অপারগতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামে রেফার করে😪😪 তাই গতকাল ০৬/০২/২০২০ রাত ১১টা থেকে আমার দেড় বছরের উচ্চোবী চাঙমার চিকিৎসার নতুন ঠিকানা এখন হেলথ পয়েন্ট হসপিটাল (প্রা) লিঃ চট্টগ্রাম। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করুন🙏🙏🙏 ------------------------------------------------------   রোগীর পিতা সজীব চাকমা জানান, তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তান উচ্চোবী চাকমা, যার বয়স এখনো মাত্র দেড় বছর। জ্বরের সাথে নিউমোনিয়া হয়ে প্রথমত রাংগামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন। রাংগামাটি জেনারেল  হাসপাতালে উন্নত চি...

"মা" কাকে বলে? মায়ের জাত কিঃ মা মানে কি?

ছবিঃ ম্রো আদিবাসী  মায়ের জাত মানে সন্তানের স্বর্গ স্থান। মায়ের জাত মানে সন্তানের পৃথিবী। মায়ের জাত মানে সন্তানের আলো। মায়ের জাত মানে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। মায়ের জাত মানে নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ানো। মায়ের জাত মানে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়ানো। মায়ের জাত মানে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সবসময় হাসি খুশিতে রাখার হাতিয়ার। মায়ের জাত মানে সন্তানের কোমলতা। মায়ের জাত মানে সন্তানের সুখ শান্তির জগৎ। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। মায়ের জাত মানে সন্তানের প্রথম ভাষা শেখার বই। মায়ের জাত মানে সন্তানকে সু-শিক্ষিত গড়ে তোলা। মায়ের জাত মানে স্বর্ণের চেয়েও দামী। মায়ের জাত মানে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে না পাওয়া। মায়ের জাত মানে খেলার সাথী। মায়ের জাত  মানে কোমলপ্রাণ। "মা" চেয়েও সুন্দর ভুবন আর কিছুই হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো মানুষ আর কেউ হতে পারে না। "মা" চেয়েও শিক্ষিত আর কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। "মা" চেয়েও ভালো আদর সৌহাগ আর কেউ দিতে পারে না। আমাদের মা যতক্ষণ বেঁচে  থা...

নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি/Mru Indigenous Blog

 কাজ প্রায় একই, কিন্তু... অনেক সময় বনিনবনা না হলেই ধর্ষণ হয়ে যাই যা পেপার পত্রিকায় নিত্য দেখি। নারীর স্বাধীনতা আর ক্ষমতায়ন নয় শুধু, তাদের ইজ্জতেরও মূল্যায়ন করি। সম্মতিতে করলে ‘যিনা’ আর জোর-জবরদস্তিতে করলে ‘ধর্ষণ’। ওয়েস্টার্ন সভ্যতায় যিনাকে প্রমোট করা হয়। ফ্রি মাইন্ডে তারা ফ্রি সেক্স করে। এটা কোনো অপরাধ না। কিন্তু নারীর অনিচ্ছায় জোর-জবরদস্তিতে সেই একই কাজ করলে তা হয় Rape বা ধর্ষণ। এটা তাদের কাছে অন্যায়। এটার জন্য আন্দোলনও হয়। ‘মি-টু’ এর মতো ‘ধার্ষনিক বিপ্লব’ও হয়। কিন্তু ইসলাম? ইসলামের অবস্থান মূলত ‘যিনা’ বা adultery এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ বা Rape এর শরয়ি দণ্ডবিধিতে যিনার শাস্তির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে জোর-জবরদস্তির শাস্তি, ত্রাসসৃষ্টির শাস্তি ইত্যাদি যুক্ত হয় মাত্র। সুতরাং ইসলাম উভয়টারই বিরোধিতা করে। এমন কঠোর বিরোধিতা যে, মুসলমানদের  কুরআন ঘোষণা করেছে- “লা তাকরাবুয যিনা” অর্থাৎ তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।  দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রেম হয়, চ্যাটিং হয়, ডেটিং হয়, শপিং হয় অসুবিধে নেই। পার্কের বেঞ্চে বসে কোলাকুলি হয়, গাছের আড়ালে পরম মমতাভরা আলিঙ্গন হয় এটাও অসুবিধে না। রাতের প...